রোগ | কোভিড-১৯ |
---|---|
ভাইরাসের প্রজাতি | করোনাভাইরাস ২ |
স্থান | পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
প্রথম সংক্রমণের ঘটনা | কলকাতা |
আগমনের তারিখ | ১৫ মার্চ ২০২০ (১ মাস, ১ সপ্তাহ ও ২ দিন) |
উৎপত্তি | ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড |
নিশ্চিত ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি | ৬১১ |
বর্তমান ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি | ৪৮৮ |
সুস্থ হয়েছে | ১০৫ |
মৃতের সংখ্যা
| ১৮ |
২০১৯-২০২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীটি ১৭ মার্চ ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রথম নিশ্চিত হয়।২০২০ সালের ১৫ শে মার্চ ২০২০ সালে লন্ডন থেকে কলকাতাতে আসা এক যুবকের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৪৮৮ সক্রিয় সংক্রমণ, ১৮ জনের মৃত্যু, ১০৫ জনের সুস্থ্য হয়ে ওঠা সহ মোট ৬১১ জন লোকের দেহে করোনা ভাইরাস নিশ্চিত হয়েছে।
এই রোগ ইংল্যান্ড থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনেক সতর্কতা অবলম্বন করেতে শুরু করে। উচ্চমাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষা সহ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং এই রোগটি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সোমবার ২২ মার্চ বিকাল ৫ ঘটিকা থেকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সকল পৌরসভা, পৌরসংস্থা ও ৩টি জেলাকে লকডাউন বা অবরুদ্ধ করা হয়।
জেলা অনুসারে করোনার বর্তমান সংখ্যা:
জেলা / স্থান | মোট | সক্রিয় | সুস্থ | মৃত্যু |
---|---|---|---|---|
বসিরহাট | ১ | ১ | ০ | ০ |
দার্জিলিং | ৭ | ৫ | ০ | ২ |
ডায়মন্ড হারবার | ১ | ০ | ০ | ০ |
পূর্ব মেদিনীপুর | ২২ | ০ | ০ | ০ |
হুগলি | ১৫ | ১০ | ৪ | ১ |
হাওড়া | ৮৬ | ৭৫ | ০ | ১ |
জলপাইগুড়ি | ৫ | ১ | ৪ | ০ |
কালিম্পং | ৭ | ৬ | ০ | ১ |
কলকাতা | ১৮৪ | ১০৩ | ০ | ২ |
মুর্শিদাবাদ | ২ | ২ | ০ | ১ |
নদিয়া | ৬ | ৬ | ০ | ০ |
উত্তর ২৪ পরগনা | ৩৭ | ৩৬ | ০ | ১ |
দক্ষিণ ২৪ পরগনা | ৬ | ৬ | ০ | ০ |
পশ্চিম বর্ধমান | ৭ | ৭ | ০ | ০ |
পশ্চিম মেদিনীপুর | ৩ | ৩ | ০ | ০ |
পূর্ব বর্ধমান | ১ | ১ | ০ | ০ |
মোট | ৫৭১ | ৪৫০ | ১০৩ | ১৮ |
পরিসংখ্যান:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিল ২০২০[৯]
- বাড়ির পর্যবেক্ষণ / নজরদারিাধীন ব্যক্তিরাঃ ২৩৬১৮
- নজরদারি সম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা: ৩৬৯৭৫
- এখনও অবধি হাসপাতাল বিচ্ছিন্নভাবে ভর্তি ব্যক্তিরাঃ ৩৭২৬
- হাসপাতাল বিচ্ছিন্নতা থেকে আজ অবধি ব্যক্তিগণকে ছাড় দেওয়া হয়েছেঃ ৩৫১৯
- বর্তমানে হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরাঃ ২০৭
- কোভিড -১৯ এর পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যাঃ ৯৮৮০
- কোভিড -১৯ এর কারণে ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছেঃ ১৮
- সক্রিয় COVID-19 এর সংখ্যাঃ ৪২৩
তারিখ অনুসারে করোনার মামলার সংখ্যা:
ঘটনার কালপঞ্জি:
মার্চ:
- ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এক উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, সদ্য ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন থেকে ফেরা ১৮ বছরের এক যুবকের দেহে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাসের চিহ্ন। মঙ্গলবার সকালেই বেলেঘাটা আইডি ও বিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে, এবং তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কলকাতার এনআইসিইডী-এ। ওই আধিকারিকের কথায়, “পরীক্ষার রিপোর্ট আসে সন্ধ্যাবেলা, এবং ফলাফল পজিটিভ।” বর্তমানে আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরানো হয়েছে রোগীকে। চিকিৎসকদের নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। যুবকের বাবা-মা এবং ড্রাইভারকে রাজারহাটে সদ্য খোলা বিশেষ কোয়ারান্টিন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে, যেখানে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তাঁরা।
- ২০ মার্চ, ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতা শহরে ফেরেন ২২ বছররে এক যুবক। তার পর জ্বর এবং সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা থাকায় প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দু’দিন আগে তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তার লালারসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এন্টেরিক অ্যান্ড কলেরা ডিজ়িজ়)। শুক্রবার (২০ মার্চ) তার রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত। এ মুহূর্তে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাকে।
- ২২ মার্চ, ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সংক্রমণ ধরা পড়ে।
- ২৩ মার্চ, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম মৃত্যু ঘটনা ঘটে বিধাননগরের আমরি হাসপাতালে।[4] সোমবার বিকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ২১ মার্চ ৫৭ বছরের প্রৌঢ়ের রক্তের নমুনা থেকে জানা যায় যে তাঁর করোনা পজিটিভ।[5] দমদমের এই বাসিন্দাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে হৃদরোগের উল্লেখ করা হয়. ১৬ মার্চ শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন প্রৌঢ়। তাঁকে ভেন্টিলেটরেও রাখা হয়। তাঁর রক্তের নমুনা নাইসেড এবং এসএসকেএম- পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে একটি রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। পরে ২১ মার্চ ফের যে রিপোর্টটি আসে, সেখানেও করোনা পজিটিউভই দেখা যায়। বেসরকারি হাসপাতালটির সূত্রে খবর, আক্রান্তের পরিবার জানিয়েছিল যে তিনি এরমধ্যে বিদেশ ভ্রমণ করেননি। হাসপাতালের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। বরং, জাতীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনেই মরদেহের পরবর্তী ব্যবস্থা করা হবে.
- ২৪ মার্চ,মিশর থেকে ফিরে আসা ৫৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আসা ৫৫ বছর বয়সী এক মহিলা ইতিবাচক পরীক্ষিত হন।
- ২৬ মার্চ, একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি ৬৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির আজ সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
- ২৭ মার্চ, ১১ বছর বয়সের একটি ছেলে, ৯ মাসের শিশু কন্যা, ছ বছরের একটি মেয়ে এবং ৪৫ ও ২৭ বছর বয়সী দুই মহিলা , সকলে ভাইবোন ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে, তারা সবাই সংক্রমিত। ১৬ মার্চ যুক্তরাজ্য ফেরত সংক্রমণ হয়েছে এমন দিল্লির একজন ব্যক্তির সাথে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল।
- ২৮ মার্চ,আগে করোনার ইতিবাচক এক ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসার জন্য, পৃথকীকরণ ব্যবস্থায় থাকা ৭৬ বছর, ৫৬ বছর বয়সী দুজন মহিলা আজ ইতিবাচক পরীক্ষিত হন।কালিম্পং -এ ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে
পরীক্ষা এবং পাল্টা ব্যবস্থা:
পরীক্ষামূলক:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগ চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে। পশ্চিমবঙ্গের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ২০ টি শয্যা যুক্ত প্রথম আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। পরে বেলেঘাটা আইডিতে তৈরি হয় ১০০ টি শয্যা যুক্ত নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড। আর কলকাতার উপশহর রাজারহাটে তৈরি বিশেষ কোয়ারিন্টন কেন্দ্রে ৫০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ১২০ টি শয্যা, আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ টি শয্যা, এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ টি শয্যা, সিএমসিতে ২৬ টি শয্যা, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ টি শয্যা, সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ টি শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়।
চিকিৎসা:
মার্চ মাসে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি, কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড সিপলা কর্পোরেশন একটি অ্যান্টি-কোভিড -১৯ ড্রাগের বিকাশের জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ চালু করে। পুনে ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্ট্রেনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোম্পানির সভাপতি আদার পূুনাওয়ালার মতে, সিওভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন এক বছরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, তবে এটি ২০ থেকে ৩০% লোকের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে।
২৩ শে মার্চ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ কর্তৃক গঠিত সিওভিআইডি-১৯ এর জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্স উচ্চ-ঝুঁকির ক্ষেত্রে সিওভিআইডি-১৯ এর চিকিৎসার জন্য হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন ব্যবহারের সুপারিশ করে।
২২ মার্চ ৩০০ জন করোনা-পজিটিভ রোগীর চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ার জন্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে তিন জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নেতৃত্বে দল গড়ে সেই নির্দেশ রূপায়ণের কাজ শুরু হয়।
মার্চ মাসে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি, কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড সিপলা কর্পোরেশন একটি অ্যান্টি-কোভিড -১৯ ড্রাগের বিকাশের জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ চালু করে। পুনে ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্ট্রেনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোম্পানির সভাপতি আদার পূুনাওয়ালার মতে, সিওভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন এক বছরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, তবে এটি ২০ থেকে ৩০% লোকের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে।
২৩ শে মার্চ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ কর্তৃক গঠিত সিওভিআইডি-১৯ এর জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্স উচ্চ-ঝুঁকির ক্ষেত্রে সিওভিআইডি-১৯ এর চিকিৎসার জন্য হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন ব্যবহারের সুপারিশ করে।
২২ মার্চ ৩০০ জন করোনা-পজিটিভ রোগীর চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ার জন্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে তিন জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নেতৃত্বে দল গড়ে সেই নির্দেশ রূপায়ণের কাজ শুরু হয়।
ব্যক্তিকে পৃথক্করণ বা কোয়ারান্টিন:
পশ্চিমবঙ্গে বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়, ভারতের জাতীয় নির্দেশিকাতেও ১৪ দিনের কোয়ারান্টিন বাধ্যতামূলক। যে সকল লোককে বাড়ির কোয়ারান্টিনের পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের ১৪ দিনের সময়কালে তাদের বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয় এবং করোন ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য এবং মিথ্যা তত্ত্ব:
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রিপোর্টের পরে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ, সংক্রমণ এবং নিরাময়ের জাল সংবাদগুলি ইন্টারনেটে, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার শুরু হয়।
- ইউনিসেফের পরামর্শদাতা বলে দাবি করা একটি ভুয়া বার্তা মানুষকে বরফের ক্রিম এড়ানোর জন্য অনুরোধ করে এবং নিশ্চিত করে যে করোনোভাইরাস ২৭ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
- জনতা কার্ফু চলাকালীন একসাথে তালি দেওয়ার ফলে যে কম্পন তৈরি হবে তা ভাইরাসটিকে মেরে ফেলবে বলে মিডিয়া জানিয়েছে। একটি ভাইরাল বার্তায় বলা হয়েছে যে করোনভাইরাসটির জীবন মাত্র ১২ ঘন্টা এবং জনতা কারফিউ চলাকালীন ১৪ ঘন্টার জন্য বাড়িতে থাকার কারণে সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে। অন্য বার্তায় দাবি করা হয়েছে যে জনতা কারফিউ পর্যবেক্ষণের ফলে করোনাভাইরাসের ঘটনা ৪০% হ্রাস পাবে।
পশ্চিমবঙ্গে বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়, ভারতের জাতীয় নির্দেশিকাতেও ১৪ দিনের কোয়ারান্টিন বাধ্যতামূলক। যে সকল লোককে বাড়ির কোয়ারান্টিনের পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের ১৪ দিনের সময়কালে তাদের বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয় এবং করোন ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রিপোর্টের পরে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ, সংক্রমণ এবং নিরাময়ের জাল সংবাদগুলি ইন্টারনেটে, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার শুরু হয়।
- ইউনিসেফের পরামর্শদাতা বলে দাবি করা একটি ভুয়া বার্তা মানুষকে বরফের ক্রিম এড়ানোর জন্য অনুরোধ করে এবং নিশ্চিত করে যে করোনোভাইরাস ২৭ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
- জনতা কার্ফু চলাকালীন একসাথে তালি দেওয়ার ফলে যে কম্পন তৈরি হবে তা ভাইরাসটিকে মেরে ফেলবে বলে মিডিয়া জানিয়েছে। একটি ভাইরাল বার্তায় বলা হয়েছে যে করোনভাইরাসটির জীবন মাত্র ১২ ঘন্টা এবং জনতা কারফিউ চলাকালীন ১৪ ঘন্টার জন্য বাড়িতে থাকার কারণে সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে। অন্য বার্তায় দাবি করা হয়েছে যে জনতা কারফিউ পর্যবেক্ষণের ফলে করোনাভাইরাসের ঘটনা ৪০% হ্রাস পাবে।
প্রভাব:
শিক্ষা:
কোরনা ভাইরাসের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে ২১ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দ্বারা ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়- কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আপৎকালীন ছুটির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ২১ মার্চ জানান, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করার কথা। উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে চলা একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। করোনা সংক্রমণের জেরে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর ২১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারিত সব লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সেইসঙ্গে দমকল ও জরুরি দপ্তরে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতার যে পরীক্ষা ২৩ মার্চ শুরুর কথা ছিল, তা-ও পিছিয়ে দেওয়া হয়। পিএসসি'র সচিব এক প্রেস বিবৃতিতে ২০ মার্চ এই কথা জানান।
বিনোদন:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সকল প্রেক্ষাগৃহগুলি বন্ধ করে। চলচ্চিত্র সংস্থাগুলি ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত চলচ্চিত্র, টিভি শো এবং ওয়েব সিরিজগুলির প্রযোজনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ট্রেন চলাচল:
২৩ মার্চ ৩১ মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গসহ দেশ জুড়ে সমস্ত যাত্রিবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, লোকাল-সহ সমস্ত রকম ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ২২ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ করা হয় কলকাতার মেট্রো পরিষেবা।
২২ মার্চ রেলের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হল। তবে কলকাতা ও শহরতলিতে এখনও লোকাল ট্রেন চলছে। পাশাপাশি কলকাতা মেট্রো ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও চলছে। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত চলার পর সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত।
তবে পণ্য পরিষেবা অর্থাৎ মালগাড়ির চলাচল চালু রাখা হয়। অন্য দিকে ২২ মার্চ ভোর চারটের আগে যে সব এক্সপ্রেস বা মেল ট্রেন যাত্রা শুরু করে, সেগুলি গন্তব্য পর্যন্ত যাত্রা করে।
২৩ মার্চ ৩১ মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গসহ দেশ জুড়ে সমস্ত যাত্রিবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, লোকাল-সহ সমস্ত রকম ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ২২ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ করা হয় কলকাতার মেট্রো পরিষেবা।
২২ মার্চ রেলের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হল। তবে কলকাতা ও শহরতলিতে এখনও লোকাল ট্রেন চলছে। পাশাপাশি কলকাতা মেট্রো ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও চলছে। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত চলার পর সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত।
তবে পণ্য পরিষেবা অর্থাৎ মালগাড়ির চলাচল চালু রাখা হয়। অন্য দিকে ২২ মার্চ ভোর চারটের আগে যে সব এক্সপ্রেস বা মেল ট্রেন যাত্রা শুরু করে, সেগুলি গন্তব্য পর্যন্ত যাত্রা করে।